চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনা ক্রসিংয়ে মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১১ জন নিহতের ঘটনায় সেখানে দায়িত্বরত গেটম্যানকে আটক করেছে পুলিশ।তার নাম সাদ্দাম হোসেন। শুক্রবার বিকালের দিকে তাকে আটকের কথা জানান চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ওসি মো. নাজিম উদ্দিন।
ওসি বলেন, ‘তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। সে এই গেটের দায়িত্বে ছিল। এ ঘটনায় নিয়মিত মামলা হবে।
শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে বার তাকিয়া স্টেশনে প্রবেশমুখে খৈয়াছড়া ঝরনা লেভেল ক্রসিংয়ে একটি মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১১ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
পূর্ব রেলের বিভাগীয় পরিবহণ কর্মকর্তা আনসার আলী বলেন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী ওই লেভেল ক্রসিং পার হওয়ার মুখে খৈয়াছড়াগামী একটি পর্যটকবাহী মাইক্রোবাস লাইনে উঠে পড়ে। ধাক্কা লাগার পরই মাইক্রোবাসটি ট্রেনের ইঞ্জিনের সঙ্গে আটকে যায়, ওই অবস্থায় মাইক্রোবাসটিকে প্রায় ১ কিলোমিটার পথ ছেঁচড়ে নিয়ে থামে ট্রেন।
লেভেল ক্রসিংয়ে ট্রেন আসার সময় কীভাবে মাইক্রোবাসটি রেললাইনে উঠল- তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। গেটম্যান কী ওই সময় গেটে ছিলেন, থাকলে গেট কি ফেলেছিলেন, নাকি ফেলেননি- তা নিয়ে দুই রকম বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে।
এমন প্রশ্নে স্থানীয়দের কেউ কেউ বলছেন, ট্রেন আসার সময় গেট ফেলা ছিল তবে গেটম্যান ক্রসিংয়ে ছিলেন না। আবার কেউ বলছেন, ওই লেভেল ক্রসিংয়ে গেট ফেলা ছিল না।
গেটম্যান বা গেট ফেলা নিয়ে এই দুই রকমের তথ্যের বিষয়ে বার তাকিয়া রেলস্টেশনের মাস্টার শামসুদ্দোহা সুনির্দিষ্ট কিছু বলতে পারেননি। তবে পূর্ব রেলের বিভাগীয় পরিবহণ কর্মকর্তা আনসার আলী বলেন, ‘ট্রেন আসায় গেটম্যান সাদ্দাম বাঁশ ফেলেছিলেন। কিন্তু মাইক্রোবাসটি বাঁশ ঠেলে ক্রসিংয়ে উঠে পড়ে।’
তবে রেল পুলিশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের ওসি মো. নাজিম উদ্দিন জানান ভিন্ন তথ্য। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, গেটম্যান ঘটনার সময় ক্রসিংয়ে ছিলেন না।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।